0
00:00:07,180 --> 00:00:15,180
বাংলা সাব সজীব.
1
00:00:41,465 --> 00:00:43,050
প্রায় একশ বছর আগেও
2
00:00:43,175 --> 00:00:47,388
প্রায় দেড়শ কোটি মানুষ বাস করতো এই পৃথিবীতে
3
00:00:49,264 --> 00:00:54,312
এখন, ছয়শো কোটির বেশী মানুষ
বাস করে এই ঠুনকো পৃথিবীতে
4
00:00:55,772 --> 00:01:01,695
কিন্তু তারপরও, পৃথিবীতে এরকম জায়গা আছে
যেখানে এখনো মানুষের পদচিহ্ন পরেনি।
5
00:01:06,826 --> 00:01:10,914
এই ধারাবাহিক আপনাদের নিয়ে যাবে শেষ গহীনে
6
00:01:11,039 --> 00:01:14,084
এবং আপনাদের দেখাবে এই পৃথিবীর প্রান
7
00:01:14,209 --> 00:01:17,003
যেরকমটা আপনারা আগে কখনই দেখেননি।
8
00:02:07,892 --> 00:02:11,771
কল্পনা করুন আমাদের পৃথিবীতে কোন সূর্য নেই।
9
00:02:12,980 --> 00:02:18,653
পুরুষ এম্পেরর পেঙ্গুইনকে ঠিক এই
অবস্থাতেই পৃথিবীতে টিকে থাকতে হয় -
10
00:02:18,821 --> 00:02:21,323
এন্টার্ক্টিকায়, পুরো শীতকাল জুড়ে।
11
00:02:23,159 --> 00:02:24,869
যেখানে সব সময় অন্ধকার
12
00:02:24,994 --> 00:02:30,165
এবং তাপমাত্রা নেমে যায়
হিমাংকের নীচে সত্তুর ডিগ্রী পর্যন্ত
13
00:02:40,678 --> 00:02:44,057
যেখান থেকে সব প্রাণীরাই চলে গেছে
কেবল পেঙ্গুইনেরা থেকে যায়,
14
00:02:44,182 --> 00:02:46,726
কেননা প্রত্যেকেই পাহারা দিচ্ছে এক অমুল্য সম্পদ
15
00:02:46,851 --> 00:02:50,021
তার পায়ের উপর রাখা
একটি মাত্র ডিম।
16
00:02:50,146 --> 00:02:54,109
যেটাকে সে গরম রেখেছে
তার পেটের চর্বির নীচে
17
00:02:59,280 --> 00:03:01,951
নেই কোন খাবার,
এমনকি কোন পানিও নেই তাদের জন্য,
18
00:03:02,076 --> 00:03:05,662
এবং পরবর্তী চার মাসের মধ্যে
তারা সূর্যের দেখাও পাবেনা।
19
00:03:05,788 --> 00:03:10,751
এরকম ত্যাগ আর কোন প্রানীকে স্বীকার করতে হয়না।
20
00:03:20,930 --> 00:03:24,016
যেভাবে সূর্য চলে যায় এন্টার্টিকা থেকে
21
00:03:24,141 --> 00:03:27,770
সেভাবেই এটা আলোকিত করে
দুরের উত্তর মেরুর আকাশকে
22
00:03:36,571 --> 00:03:37,906
এটা মার্চ মাস
23
00:03:38,031 --> 00:03:41,160
আলো ফিরে এসেছে উত্তর মেরুতে,
24
00:03:41,285 --> 00:03:44,914
মুছে দিয়েছে চার মাসের অন্ধকারের রাজত্ব।
25
00:03:57,928 --> 00:04:00,597
একটা শ্বেত ভালুক উঁকি দেয়,
26
00:04:00,723 --> 00:04:04,143
সারাটা শীত সে তার গুহায় বন্দী ছিল।
27
00:04:04,226 --> 00:04:08,690
তার আগমন বসন্তের বার্তা দেয়
28
00:04:11,193 --> 00:04:13,820
মাসের পর মাস মাটির নিচের বন্দী জীবনের পর
29
00:04:13,946 --> 00:04:15,989
সে বরফের ঢালু বেয়ে গড়িয়ে নামে।
30
00:04:16,114 --> 00:04:18,242
হয়তো এই ফাকে পশমগুলি পরিস্কার করে নিতে,
31
00:04:18,450 --> 00:04:21,329
হয়তোবা মনের আনন্দে।
32
00:04:36,261 --> 00:04:39,890
তার বাচ্চারা উঠে আসে,
তাদের নতুন উজ্জ্বল পৃথিবীতে
33
00:04:40,015 --> 00:04:42,225
প্রথমবারের মতো।
34
00:04:44,646 --> 00:04:46,438
মা ভালুক তাদের ডাক দেয়,
35
00:04:46,565 --> 00:04:52,613
কিন্তু এই ঢালু পিচ্ছিল পথ,
তাদের প্রথম পদক্ষেপের জন্য সহজ নয়।
36
00:05:05,876 --> 00:05:07,461
কিন্তু তারা ক্ষুধার্ত
37
00:05:07,586 --> 00:05:09,214
এবং মায়ের কাছে যেতে মরিয়া,
38
00:05:09,339 --> 00:05:12,884
কারন এই বিশেষ দিনে
মা তাদের না খাইয়ে রেখেছে।
39
00:05:13,051 --> 00:05:15,553
এখন সে তাদের খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ডাকছে,
40
00:05:15,678 --> 00:05:18,974
ঠিক যে খাবারটা তারা জন্মের পর থেকে খেয়ে আসছে
41
00:05:19,100 --> 00:05:23,979
গত দুই মাস ধরে, বরফের গভীরে
অন্ধ এবং বধির জীবনে।
42
00:05:40,414 --> 00:05:43,918
তাদের মা নিজেই কিছু খায়নি পাঁচ মাস ধরে
43
00:05:44,043 --> 00:05:46,880
এবং তার শরীরের ওজন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
44
00:05:47,088 --> 00:05:53,220
এখন সে তার শরীরের শেষ সঞ্চিত চর্বি দিয়ে
তার বাচ্চাদের জন্য দুধ তৈরি করে যাচ্ছে।
45
00:06:12,032 --> 00:06:14,743
বসন্তে সূর্য উষ্ণতা নিয়ে আসে,
46
00:06:14,868 --> 00:06:17,789
কিন্তু এটা মায়ের জন্য একটা চিন্তার কারন।
47
00:06:18,247 --> 00:06:21,166
এতে সাগরপৃষ্ঠের বরফ গলতে শুরু করবে
48
00:06:21,291 --> 00:06:25,463
যেখানে সে সীলমাছ শিকার করবে,
তার যে বাচ্চাদের জন্য খাবার লাগবে।
49
00:06:25,588 --> 00:06:29,301
এবং বরফ ভেঙ্গে পরার আগেই
তাদের সেখানে পৌছতে হবে।
50
00:06:33,137 --> 00:06:36,475
যদিও এখনো তাপমাত্রা হিমাংকের ত্রিশ ডিগ্রী নীচে
51
00:06:36,600 --> 00:06:40,145
এবং বাচ্চাদের গুহার আশ্রয় দরকার।
52
00:06:54,119 --> 00:06:57,289
ভালুকটি বেড়িয়েছে ছয় দিন হয়ে গেছে
53
00:06:57,414 --> 00:07:00,126
এবং বসন্তও দ্রুত এগিয়ে আসছে।
54
00:07:00,251 --> 00:07:04,046
তারপরও হঠাত করেই শৈত্য প্রবাহ
কোন আগমনী বার্তা ছাড়াই হানা দেয়।
55
00:07:07,050 --> 00:07:08,343
ছোট্টা ছানারা
56
00:07:08,468 --> 00:07:13,307
খুব অল্প শীতেই কাবু হয়ে যায়,
তারা হয়তো গুহাতেই আরামে থাকতো।
57
00:07:13,432 --> 00:07:16,643
কিন্তু তাদের মা তাদের বাহিরে কাজের মধ্যে রেখে দেয়।
58
00:07:18,145 --> 00:07:19,855
ক্ষুধায় সে ও যে দুর্বল হয়ে পরছে আস্তে আস্তে।
59
00:07:19,980 --> 00:07:23,067
এবং এই ঢালু পাহাড়ে
কোন খাবার যে নেই তাদের জন্য
60
00:07:29,741 --> 00:07:31,994
সাগরপাড়ের বরফ এখনো টিকে আছে।
61
00:07:32,285 --> 00:07:34,663
কিন্তু এগুলোও বেশী দিন টিকবে না।
62
00:07:38,083 --> 00:07:38,959
দশ দিন পর,
63
00:07:39,209 --> 00:07:42,922
মা তার বাচ্চাদের নিয়ে
গুহা থেকে মাইলখানেক দূরে চলে এসেছে
64
00:07:43,047 --> 00:07:45,925
এখন সময় হয়েছে তাদের পরীক্ষার
65
00:07:48,470 --> 00:07:51,181
তাদের আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়েছে
66
00:07:51,306 --> 00:07:58,227
কিন্তু মায়ের ভেতর যে তাড়া
তার ছিটেফোটাও নেই তাদের মধ্যে।
67
00:08:10,911 --> 00:08:14,415
অবশেষে দেখে মনে হচ্ছে
তাড়া তাদের সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত
68
00:08:14,540 --> 00:08:16,250
এবং তারাও ঠিক সময়মতোই এসেছে,
69
00:08:16,416 --> 00:08:21,088
উপকূল থেকে কয়েক মাইল দূরে
বরফের চাঙড় ভাঙতে শুরু করেছে।
70
00:08:27,428 --> 00:08:31,141
এখন মা তাদের জন্য দরকার
সীল মাছ শিকার করতে পারবে,
71
00:08:31,266 --> 00:08:35,938
কিন্তু মা তার বাচ্চাদের
এক কঠিন নতুন পৃথিবীতে নিয়ে যাচ্ছে।
72
00:08:36,605 --> 00:08:41,986
প্রায় অর্ধেক ভালুকের বাচ্চা
তাদের জন্মের প্রথম বছরেই এই বরফে মারা যায়
73
00:08:52,205 --> 00:08:55,751
গ্রীষ্মকালে ২৪ ঘন্টাই সূর্যের আলো পাওয়া যায়,
74
00:08:55,876 --> 00:08:59,213
এবং বরফ গলে নতুন মাটি উঠে আসে,
75
00:09:01,924 --> 00:09:07,347
আরো দক্ষিনে উত্তর মেরুর তুন্দ্রা অঞ্চল থেকে
শীতের বরফ প্রায় সবই গলে গেছে।
76
00:09:15,606 --> 00:09:18,859
উত্তর কানাডার বন্য জীবন
77
00:09:18,984 --> 00:09:23,698
এখানে প্রকৃতি মঞ্চস্থ করে
তার নিজের সেরা নাটক -
78
00:09:31,206 --> 00:09:37,797
প্রতি বছর প্রায় ত্রিশ লাখ কারিবু হরিনের পাল
এই তুন্দ্রা অঞ্চল অতিক্রম করে।
79
00:09:50,685 --> 00:09:57,110
তাদের এই পালের বিশালত্ব দেখতে চাইলে
কেবল মাত্র আকাশ থেকেই দেখা সম্ভব .
80
00:10:04,241 --> 00:10:10,248
কোন কোন পাল ২০০০ মাইলের বেশী
অতিক্রম করে শুধুমাত্র তাজা খাবারের খোঁজে।
81
00:10:10,373 --> 00:10:16,464
এটা পৃথিবীর স্থলচর কোন প্রানীর
জন্য সবচে বড় পরিভ্রমন।
82
00:10:27,726 --> 00:10:30,104
তারা সব সময় চলার উপর থাকে।
83
00:10:30,229 --> 00:10:34,274
সদ্যজাত বাচ্চাদেরও জন্মের
প্রথম দিন থেকেই হাটতে হয়।
84
00:10:55,340 --> 00:11:00,136
কিন্তু এই বিশাল পাল একা পথ চলেনা।
85
00:11:02,721 --> 00:11:04,099
নেকড়ে।
86
00:11:06,559 --> 00:11:11,398
সদলবলে, আট থেকে দশটি নেকড়ে
ছায়ার মতো পালটিকে অনুসরন করে।
87
00:11:13,359 --> 00:11:14,735
এবং তাড়া ক্ষুধার্ত।
88
00:11:20,449 --> 00:11:24,621
তাদের প্রধান লক্ষ্য, সদ্যজাত বাচ্চাগুলো
89
00:11:31,754 --> 00:11:36,467
সোজা পাল বরাবর হামলা করা
শুধুমাত্র আতংক সৃষ্টির একটি কৌশল মাত্র।
90
00:11:47,104 --> 00:11:48,563
পালটি ভেঙ্গে যায়,
91
00:11:48,689 --> 00:11:52,526
এখন খুব সহজ হয়ে যায়
দলছুট একটিকে খুঁজে বের করা
92
00:12:03,204 --> 00:12:07,333
এই হট্টগোলে একটি বাচ্চা
তার মায়ের থেকে আলাদা হয়ে যায়।
93
00:12:13,966 --> 00:12:15,259
বাচ্চাটি একদম ছোট,
94
00:12:15,384 --> 00:12:20,139
কিন্তু তারপরও সে ঠিকমতো দৌড়াতে পারলে
এই নেকড়েকেও নাকানিচুবানি খাওয়াতে পারে।
95
00:12:32,945 --> 00:12:35,782
এই পর্যায়ে বাজির পাল্লা সমানে সমান-
96
00:12:35,907 --> 00:12:38,076
হয়তো হরিণটা কোন একটা ভুল করবে
97
00:12:38,201 --> 00:12:41,329
অথবা মাইলখানেক দৌড়ানোর পর
নেকড়েটা হাল ছেড়ে দিবে।
98
00:13:30,674 --> 00:13:32,759
তুন্দ্রাতে এখন গ্রীষ্মের মাঝামাঝি,
99
00:13:32,885 --> 00:13:35,596
এবং সূর্যও ডুবছে না।
100
00:13:38,557 --> 00:13:42,437
এই অক্ষাংশে, সূর্য চারদিক থেক উঁকি দিতে থাকে
101
00:13:42,562 --> 00:13:45,273
এবং তাঁর শক্তির খুব অল্পই মাটিতে পৌঁছে,
102
00:13:45,440 --> 00:13:47,984
যা বড় গাছের জন যথেষ্ট নয়।
103
00:13:50,446 --> 00:13:53,616
আপনাকে আরো ৫০০ মাইল
দক্ষিন দিকে যেতে হবে,
104
00:13:53,782 --> 00:13:55,617
বড় গাছ খুঁজে পাওয়ার জন্য
105
00:14:01,917 --> 00:14:05,546
এই দুর্বল ঝোপঝাড়গুলোই
গাছের সারির চিহ্ন -
106
00:14:05,671 --> 00:14:08,966
উত্তুরে বনাঞ্চলের শুরু এখান থেকেই -
107
00:14:09,175 --> 00:14:10,342
তাইগা বনাঞ্চল।
108
00:14:19,811 --> 00:14:23,857
এই জঙ্গলের গাছের পাতাগুলো সুচাগ্র
কোনমতেই খাওয়ার যোগ্য না।
109
00:14:23,982 --> 00:14:27,861
তাই এই জঙ্গলে খুব অল্প প্রাণীই বাস করে।
110
00:14:34,536 --> 00:14:36,119
এটি একটি শান্ত জায়গা
111
00:14:36,246 --> 00:14:40,082
যেখানে বরফের উপর কোন পায়ের ছাপও দেখা যায়না।
112
00:14:49,343 --> 00:14:51,136
উত্তর মেরুর শীতকালে,
113
00:14:51,262 --> 00:14:55,600
বরফের চাদর এক বিশাল এলাকাকে ঢেকে দেয়
114
00:14:55,850 --> 00:14:58,645
কিন্তু যখনই দক্ষিন দিক থেকে বসন্তের আগমন হয়,
115
00:14:58,770 --> 00:15:01,773
তাইগাও ফুটে উঠতে থাকে
116
00:15:07,196 --> 00:15:10,324
বিশাল বনভুমি, প্রায় পুরো পৃথিবীকে ঘিরে রয়েছে।
117
00:15:10,449 --> 00:15:13,953
পৃথিবীর প্রায় সব গাছের এক তৃতীয়াংশ আছে এখানে।
118
00:15:14,078 --> 00:15:16,164
এবং এতটাই অক্সিজেন এখানে প্রস্তুত হয়,
119
00:15:16,289 --> 00:15:20,084
এটা বায়ুমন্ডলের অবস্থাই পালটে দেয়।
120
00:15:22,712 --> 00:15:24,381
আরো দক্ষিন দিকে গেলে,
121
00:15:24,506 --> 00:15:27,634
সূর্যের ভুমিকা আরো বাড়তে থাকে
122
00:15:27,759 --> 00:15:33,933
এবং প্রায় ৫০ ডিগ্রী অক্ষাংশে,
এক বিশাল পরিবর্তন শুরু হয়ে যায়।
123
00:15:43,819 --> 00:15:50,451
এখানকার গ্রীষ্মকাল এতটাই লম্বা
যে বড় পাতার গাছে বনাঞ্চল সমৃদ্ধ হতে থাকে
124
00:15:50,660 --> 00:15:54,455
বড় পাতাগুলো, খাওয়া এবং হজম করা সহজ হয়,
125
00:15:54,580 --> 00:15:57,791
আর প্রানীদের পক্ষে তাদের ভাগের শক্তি
সঞ্চয় করা সম্ভব হয়,
126
00:15:57,918 --> 00:15:59,878
যে শক্তি আসে সূর্য থেকে।
127
00:16:01,420 --> 00:16:02,381
এটা গ্রীষ্মকাল
128
00:16:02,506 --> 00:16:06,092
এবং এই জঙ্গলগুলিতে প্রানের বিস্ফোরন ঘটেছে
129
00:16:32,497 --> 00:16:35,666
কিন্তু এই ভালো সময় বেশীদিন টিকবে না।
130
00:16:37,544 --> 00:16:42,049
বড় পাতার গাছগুলোকে তাদের পাতাগুলো
ছেটে ফেলতে হবে বরফে জমে যাবার আগেই
131
00:16:42,174 --> 00:16:43,633
আর পাতাগুলো ঝড়ে গেলেই,
132
00:16:43,759 --> 00:16:48,722
এ জঙ্গল বিরান ভুমিতে পরিনত হবে,
প্রানীদের খাওয়ার আর কিছুই থাকবে না
133
00:16:57,023 --> 00:16:59,484
প্রানীদের অবশ্যই অন্যত্র চলে যেতে হবে
134
00:16:59,609 --> 00:17:00,902
অথবা শীতনিদ্রায় যেতে হবে
135
00:17:01,069 --> 00:17:04,281
অথবা মাসের পর মাস না খেয়ে থাকতে হবে।
136
00:17:22,842 --> 00:17:24,759
আমুর চিতা-
137
00:17:24,803 --> 00:17:27,639
পৃথিবীর সবচে দুর্লভ প্রজাতির চিতা।
138
00:17:30,726 --> 00:17:33,855
এখানে, পূর্ব রাশিয়ার এই ক্ষণস্থায়ী জঙ্গলে
139
00:17:33,980 --> 00:17:36,857
শীতকালে শিকার করা অনেক কঠিন হয়ে যায়
140
00:17:36,901 --> 00:17:38,651
শিকার প্রানী পাওয়া দুর্লভ,
141
00:17:38,776 --> 00:17:41,696
এবং লুকোনোর মতো কোন ঝোপঝাড়ও নেই।
142
00:17:44,783 --> 00:17:48,787
বাচ্চাটির বয়স প্রায় এক বছর
এবং এখনো মায়ের উপর নির্ভরশীল।
143
00:17:57,297 --> 00:18:00,926
এখানে তীব্র শীতে
মাঝেমাঝেই হরিণ মারা পরে।
144
00:18:01,051 --> 00:18:05,138
এই চিতাগুলির তখন এই মৃতদেহ
থেকে মাংস খাওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
145
00:18:05,681 --> 00:18:09,185
আফ্রিকার চিতা কোনমতেই এখানে টিকতে পারবেনা।
146
00:18:09,310 --> 00:18:14,440
শীতের কবল থেকে বাচার জন্য এই রাশিয়ান
চিতাগুলির গায়ে আছে ঘন লম্বা পশম .
147
00:18:20,321 --> 00:18:24,118
জঙ্গলে এখন মাত্র চল্লিশটির মতো
আমুর চিতা অবশিস্ট আছে।
148
00:18:24,243 --> 00:18:26,286
এবং এই সংখ্যা কমছে।
149
00:18:27,955 --> 00:18:29,414
অনেক প্রানীদের মতোই
150
00:18:29,541 --> 00:18:32,502
এই বাঘগুলিও বিলুপ্ত হওয়ার দোরগোরায়
151
00:18:32,627 --> 00:18:36,464
শিকারীদের দ্বারা,
আর ক্রমাগত আবাসস্থল নস্ট হবার কারনে।
152
00:18:38,425 --> 00:18:44,139
আমুর চিতা হচ্ছে আমাদের
এই ভঙ্গুর প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের নিদর্শন।
153
00:18:44,764 --> 00:18:48,977
এই পুরো প্রজাতিটির টিকে থাকা নির্ভর করছে
154
00:18:49,103 --> 00:18:53,108
এই মা চিতার মতো কয়েকটি চিতার উপর।
155
00:18:58,697 --> 00:19:01,074
সব প্রাণীই, দুর্লভ হোক অথবা প্রচুর
156
00:19:01,199 --> 00:19:05,204
তারা নির্ভর করে সূর্যের শক্তির উপর।
157
00:19:13,087 --> 00:19:15,798
জাপানে, চেরি ফুল ফুটে ওঠা মানেই
158
00:19:15,923 --> 00:19:18,927
বসন্ত এসে গেছে,
159
00:19:40,409 --> 00:19:44,747
সূর্যের তাপ এই ভুমিতে রঙ্গের বন্যা বইয়ে দেয়।
160
00:19:54,715 --> 00:19:58,344
পৃথিবী, সূর্যের চারদিকে তার বছরব্যাপী
পরিক্রমা করতে থেকে
161
00:19:58,469 --> 00:20:01,097
নিজের অক্ষের উপর একটু কাত হয়ে ঘুরতে ঘুরতে
162
00:20:01,223 --> 00:20:05,310
এবং এই কাত হয়ে ঘোরার কারনেই
ঋতুবৈচিত্র্য দেখা যায়।
163
00:20:30,880 --> 00:20:35,344
এই ঋতুপরিবর্তনের ফলেই
প্রকৃতিতে নানা পরিবর্তন ঘটে
164
00:20:36,386 --> 00:20:39,305
যখন সূর্য উত্তর দিক থেকে আস্তে আস্তে সরে আসতে থাকে,
165
00:20:39,430 --> 00:20:44,019
ধীরে ধীরে আমেরিকার এই ক্ষণস্থায়ী
জঙ্গলের পাটও চুকতে থাকে।
166
00:20:44,144 --> 00:20:49,441
আসন্ন ঠান্ডা এবং কালো শীতের মোকাবেলায়
নিজেদের সব পাতা ঝরিয়ে তারা প্রস্তুত হয়ে নেয়।
167
00:21:03,832 --> 00:21:06,753
এক ঋতু থেকে আরেক ঋতুতে প্রকৃতির হাত বদল হয়।
168
00:21:06,878 --> 00:21:09,797
কিছু জীব আবার মৃত্যুতেই বিকশিত হয়,
169
00:21:09,923 --> 00:21:13,551
কিন্তু বেশির ভাগই আসন্ন শীতের
মোকাবেলার প্রস্তুতি গ্রহন করে
170
00:21:13,677 --> 00:21:16,137
এবং সূর্য ছাড়া জীবন ধারন করার জন্য।
171
00:21:31,362 --> 00:21:33,490
প্রায় পুরো একটি প্রজাতি
172
00:21:33,615 --> 00:21:39,872
এখন বাধ্য হয়ে খাওয়া এবং উষ্ণতার
খোঁজে হাজার হাজার মাইল পাড়ি জমাবে .
173
00:21:45,211 --> 00:21:51,425
৩০০,০০০ বৈকাল বক একটি ঝাকে মিলেছে
এই সাইবেরিয়ান শীতের হাত থেকে পালানোর জন্য
174
00:21:51,550 --> 00:21:55,138
তারা চলে যাবে দক্ষিনে কোরিয়ার দিকে -
175
00:21:57,766 --> 00:22:02,312
একটি প্রজাতির সব প্রাণী এখন একটি ঝাকে
176
00:22:06,484 --> 00:22:11,072
কিন্তু পৃথিবীতে এমনও স্থান আছে
যেখানে কোন ঋতুবৈচিত্র্য নেই।
177
00:22:14,408 --> 00:22:18,580
ক্রান্তীয় অঞ্চলে সূর্য ঠিক মাথা বরাবর আলো দেয়,
178
00:22:18,705 --> 00:22:23,294
এবং তাদের শক্তি সারা বছর
প্রায় একরকমই থাকে।
179
00:22:25,671 --> 00:22:28,507
তাইতো এখানে জঙ্গল অনেক ঘন
হয়ে বেড়ে ওঠে,
180
00:22:28,632 --> 00:22:31,218
এবং বিচিত্র প্রানের সমাহার ঘটায়।
181
00:22:32,887 --> 00:22:36,766
এই জঙ্গল পৃথিবীর মোট অঞ্চলের মাত্র
শতকরা তিন ভাগ,
182
00:22:36,891 --> 00:22:42,189
কিন্তু পৃথিবীর সব প্রানী এবং উদ্ভিদের
শতকরা ৫০ ভাগ এই জঙ্গলগুলিতে আছে।
183
00:22:45,776 --> 00:22:48,946
এই বনাঞ্চল অনেক সমৃদ্ধ।
184
00:22:49,280 --> 00:22:51,156
এখানে আছে বানর, পাখি
185
00:22:51,283 --> 00:22:53,618
এবং লক্ষ লক্ষ প্রজাতির পোকামাকড়
186
00:22:53,743 --> 00:22:56,747
যাদের প্রকৃত সংখ্যা আমাদের জানা নেই।
187
00:22:59,207 --> 00:23:02,627
যতই নিচের দিকে নামা যায়,
এই জঙ্গলের চেহারা তত পরিবর্তিত হতে থাকে,
188
00:23:02,752 --> 00:23:05,298
নিচের দিকটা খানিকটা অন্ধকার এবং স্যাঁতসেঁতে
189
00:23:05,423 --> 00:23:09,218
নানা প্রজাতির উদ্ভিদ এবং প্রানীদের জন্য আদর্শ
190
00:23:15,100 --> 00:23:18,520
সূর্যের আলোর দুই শতাংশের কম
মাটিতে পৌঁছতে পারে।
191
00:23:18,645 --> 00:23:22,442
তারপরেও এখানে বিচিত্র প্রানের সমাহার।
192
00:23:31,492 --> 00:23:33,704
নিউ গিনির এই দারুন দ্বীপে
193
00:23:33,829 --> 00:23:37,332
প্রায় ৪২ প্রজাতির স্বর্গীয় পাখি বাস করে,
194
00:23:37,458 --> 00:23:39,834
একটি আরেকটির চেয়ে অদ্ভুত।
195
00:24:07,114 --> 00:24:08,908
এই জঙ্গল এতটাই সমৃদ্ধ
196
00:24:09,033 --> 00:24:12,370
উপাদেয় খাবার খুব সহজেই পাওয়া যায়,
197
00:24:12,537 --> 00:24:15,540
তাই তো এই ছয় ঝুটিওয়ালা পুরুষ পাখিটির
198
00:24:15,665 --> 00:24:18,251
হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে অন্য দিকে মনোনিবেশ করার
199
00:24:18,376 --> 00:24:21,714
যেমন, তার নাচের স্থানটি পরিস্কার করা।
200
00:24:31,349 --> 00:24:34,519
সবকিছু ঝকঝকে তকতকে হওয়া চাই,
201
00:24:42,653 --> 00:24:44,280
সব ঠিকঠাক,
202
00:25:05,469 --> 00:25:06,845
চমৎকার প্রদর্শন,
203
00:25:07,097 --> 00:25:09,223
কিন্তু কোন দর্শকইতো নেই।
204
00:25:11,310 --> 00:25:15,981
এই চমৎকার স্বর্গীয় পাখিটি মেয়ে পাখিকে
আকর্ষণ করার জন্য ডাকতে থাকে।
205
00:25:18,400 --> 00:25:20,903
এবং তার ভাগ্যও সুপ্রসন্ন হয়।
206
00:25:21,695 --> 00:25:26,033
কিন্তু সে তাকে বশ মানাতে আর কিইবা করতে পারে।
207
00:25:52,021 --> 00:25:55,107
মেয়েটি দ্বিতীয়বার তার রায়টি ভেবে দেখে।
208
00:26:01,780 --> 00:26:04,117
সত্যিই হার মেনে নেয়াটা অনেক কঠিন,
209
00:26:04,242 --> 00:26:07,162
যখন তোমার সেরা প্রদর্শনীটাও তাকে
সন্তুস্ট করার জন্য যথেষ্ট নয়।
210
00:26:27,934 --> 00:26:33,690
সূর্য যতটা মাটিকে প্রভাবিত করে,
মহাসাগরেও ঠিক ততটাই প্রভাব বিস্তার করে।
211
00:27:20,783 --> 00:27:24,495
এর সমৃদ্ধ জায়গাটি হচ্ছে সেটাই
যেখানে স্রোত এবং ঢেউ
212
00:27:24,621 --> 00:27:27,832
নানা সমৃদ্ধ প্রাকৃতিক উপাদানগুলি
213
00:27:27,957 --> 00:27:29,960
সূর্যের আলোতে নিয়ে আসে
214
00:27:30,210 --> 00:27:34,673
দক্ষিন আফ্রিকার প্রান্ত সীমানার সাগরগুলি
এইরকম জাদুকরি রসনায় পরিপুর্ন
215
00:27:34,798 --> 00:27:37,217
এবং দারুন কার্যকরী
216
00:27:41,055 --> 00:27:43,140
গ্রীষ্মে এর প্রাচুর্যতা বৃদ্ধি পায়
217
00:27:43,265 --> 00:27:46,978
এবং এসময়েই সীল মাছের বাচ্চা দিতে শুরু করে।
218
00:28:11,714 --> 00:28:16,468
সাদা হাঙ্গরের আক্রমন করতে
এক সেকেন্ডের বেশী লাগেনা।
219
00:28:16,593 --> 00:28:20,473
চল্লিশ গুন ধীরে দেখা গেলে চোখে
পরে এই প্রকান্ড হাঙ্গরের
220
00:28:20,598 --> 00:28:24,268
শিকারের কৌশল এবং প্রচন্ড শক্তি।
221
00:29:02,560 --> 00:29:04,646
যদি চমক কাবু করতে না পারে,
222
00:29:04,771 --> 00:29:06,898
তখন শুরু হয় পিছু নেয়া।
223
00:29:17,159 --> 00:29:20,371
হাঙ্গর সোজা সাতার কাটতে বেশ পারদর্শী
224
00:29:20,496 --> 00:29:23,750
কিন্তু এটি সীলের মতো আচমকা বাক নিতে পারেনা।
225
00:29:26,461 --> 00:29:28,880
এটি হচ্ছে কৌশলের বিপরীতে শক্তির খেলা
226
00:30:24,524 --> 00:30:26,943
সিল মাছেদের বাচ্চা দেয়া শেষ হলে
227
00:30:27,069 --> 00:30:29,445
হাঙ্গরের বাচ্চা দেয়া শুরু হয়,
228
00:30:32,032 --> 00:30:33,576
এটা এখন পরিস্কার যে,
229
00:30:33,701 --> 00:30:37,663
সাদা হাঙ্গরেরা মহাসাগরে হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে
230
00:30:37,788 --> 00:30:42,376
বিভিন্ন সাগরে বিভিন্ন ঋতুতে শিকার করে থাকে।
231
00:31:09,322 --> 00:31:12,784
সূর্য, এই ক্রান্তীয় অঞ্চলের পানিতে তাপ দিয়ে।
232
00:31:12,910 --> 00:31:15,745
পুরো পৃথিবীর আবহাওয়াকে সচল রাখে।
233
00:31:16,038 --> 00:31:18,874
উষ্ণ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে জলীয় বাস্প বাতাশে মিশে যায়
234
00:31:18,999 --> 00:31:22,295
এবং উপরে উঠে বিশাল ঝড়ে পরিনত হয়।
235
00:31:43,359 --> 00:31:45,862
সাগরে উৎপন্ন সামান্য বাতাস,
236
00:31:45,987 --> 00:31:49,407
মহাদেশ পেরিয়ে চলে যায়,
237
00:32:01,337 --> 00:32:03,464
তাড়া সাহারা মরুভুমির উপর দিয়ে বয়ে যাবার সময়
238
00:32:03,589 --> 00:32:07,010
তার পৃথিবীর সবচে বড় ধুলিঝর তৈরি করে
239
00:32:07,135 --> 00:32:09,387
এবং ধূলিকণাগুলিকে বয়ে নিয়ে যায়
অর্ধেক পৃথিবী দূরের
240
00:32:09,512 --> 00:32:12,683
আমাজন জঙ্গলের উর্বরতা বাড়াতে।
241
00:32:17,647 --> 00:32:20,900
ভারত মহাসাগরে উৎপন্ন বাতাস
242
00:32:21,067 --> 00:32:25,780
আর্দ্রতা সংগ্রহ করতে করতে চলে যায়
হিমালয়ের পাদদেশে,
243
00:32:26,823 --> 00:32:30,160
বাতাস যত উপরে উঠতে থাকে
তত শীতল হতে থাকে।
244
00:32:34,665 --> 00:32:36,125
এই বয়ে আসা জলকণাগুলি
245
00:32:36,250 --> 00:32:38,377
ঘন হয়ে মেঘে পরিণত হয়,
246
00:32:38,586 --> 00:32:43,174
এবং ঝড়ে পরে প্রানদায়ী মৌসুমি বৃষ্টিপাত রুপে।
247
00:32:48,638 --> 00:32:51,975
এভাবেই সূর্যের শক্তিতে বায়ু প্রবাহিত হয়ে
248
00:32:52,101 --> 00:32:55,813
জলকণাকে মহাদেশের মাঝে নিয়ে আসে।
249
00:33:15,251 --> 00:33:16,627
পানি ছাড়া,
250
00:33:16,794 --> 00:33:18,462
কোন জীব টিকতে পারে না।
251
00:33:18,587 --> 00:33:23,176
কিন্তু মাটিতে এর বিতরন ব্যাবস্থা
সর্বত্র সমান হয় না।
252
00:33:29,933 --> 00:33:33,896
পৃথিবীর ভুমির প্রায় এক তৃতীয়াংশ মরুভুমি
253
00:33:34,146 --> 00:33:36,941
এবং এগুলোর আয়তন প্রতি বছরই বাড়ছে।
254
00:33:47,536 --> 00:33:51,707
এটি আফ্রিকার দক্ষিনাঞ্চলের কালাহারি মরুভুমি।
255
00:33:52,332 --> 00:33:54,168
এখন শুকনো মৌসুম।
256
00:33:54,293 --> 00:33:57,172
এবং হাজার হাজার হাতী তাদের
যাত্রা শুরু করেছে,
257
00:33:57,297 --> 00:33:59,966
হন্যে হয়ে পানির খোঁজে।
258
00:34:10,269 --> 00:34:15,983
পুরো আফ্রিকার দক্ষিনাঞ্চল জুড়েই
সব প্রাণীরাই একই কারনে ছুটছে
259
00:34:19,070 --> 00:34:21,531
মহিষের পালও এই পথে শামিল হয়,
260
00:34:21,740 --> 00:34:25,201
পৃথিবীর আর কোন প্রান্তেই
এক সাথে এতো প্রাণী পথ চলে না
261
00:34:25,285 --> 00:34:28,122
একই জরুরী উদ্দেশ্য নিয়ে।
262
00:34:32,292 --> 00:34:36,505
তারা সবাই চলছে ওকাওয়াঙ্গার জলাভুমির দিকে।
263
00:34:36,589 --> 00:34:39,175
এটা একট বিশাল ভুমি বদ্বীপ
264
00:34:40,510 --> 00:34:42,720
এখন এটা শুকনো,
265
00:34:43,138 --> 00:34:45,264
কিন্তু ধীরে ধীরে পানি আসছে।
266
00:34:47,392 --> 00:34:52,439
পথিকের চলা বাধাগ্রস্থ হয় ভয়ঙ্কর ধূলিঝড়ে
267
00:34:55,943 --> 00:35:00,573
মেয়ে প্রানীরা এবং তাদের বাচ্চারা
সহজেই তাদের দল থেকে আলাদা হয়ে যায়,
268
00:35:17,091 --> 00:35:22,013
এই পরিবারটির আশ্রয় মিলতে পারে
কয়েক মাইল দূরে
269
00:35:22,180 --> 00:35:24,808
সেখানে না পৌঁছে তারা থামতে পারবেনা।
270
00:35:41,117 --> 00:35:44,746
মূল পালটি ইতমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গেছে
271
00:35:49,919 --> 00:35:54,132
শেষ পর্যন্ত, ধুলি পেরিয়ে তাড়া তাদের গন্তব্যে পৌঁছে যায় .
272
00:35:58,678 --> 00:36:03,475
ক্লান্ত বাচ্চাটি ধুলি ঝড়ে কিছু দেখতে পাচ্ছে না।
273
00:36:05,978 --> 00:36:09,690
তার মায়ের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব
সব কিছুই সে করছে।
274
00:36:22,788 --> 00:36:25,499
ঝড় কমে আসছে,
275
00:36:25,874 --> 00:36:29,002
কিন্তু সব হাতীই সৌভাগ্যবান হয়না,
276
00:36:29,587 --> 00:36:32,381
একটি তরুন হাতি হারিয়ে গেছে
277
00:36:34,132 --> 00:36:36,176
তৃষ্ণার্ত এবং পরিশ্রান্ত
278
00:36:36,260 --> 00:36:38,847
সে তার মায়ের পায়ের ছাপ
অনুসরন করে চলছে
279
00:36:39,222 --> 00:36:42,893
কিন্তু দুঃখজনক ভাবে, উল্টোপথে।
280
00:37:07,128 --> 00:37:10,047
শুকনো মৌসুমের একেবার চূড়ান্ত পর্যায়ে
281
00:37:10,214 --> 00:37:13,217
ওকাওয়াঙ্গায় পানি আসতে শুরু করে,
282
00:37:13,301 --> 00:37:17,389
এটি বৃষ্টি আকারে পরেছিল
হাজার মাইল দূরে এঙ্গোলার উচুভুমিতে
283
00:37:17,471 --> 00:37:21,059
প্রায় পাঁচ মাস পরে এখানে এসে পৌঁছে
284
00:37:27,399 --> 00:37:31,821
আসার পথে মাটিতে থাকা পোকামাকড়
ভাসিয়ে নিয়ে আসে।
285
00:37:31,946 --> 00:37:34,324
যেগুলো পাখিদের জন্য বেশ উপাদেয় খাবার,
286
00:37:37,910 --> 00:37:40,038
পানির সাথে ভেসে আসা শিং এবং মাগুর মাছেরা
287
00:37:40,163 --> 00:37:44,001
ডুবে যাওয়াগুলোকে খেয়ে নেয়
যেগুলো পাখিদের চোখ এড়িয়ে গেছে।
288
00:37:54,887 --> 00:37:59,392
এটা প্রায় সব প্রানীদের জন্যই
একটি মৌসুমি ভোজ।
289
00:38:10,947 --> 00:38:14,408
পাখিরা সর্ব প্রথম দলে দলে আসে এখানে-
290
00:38:14,533 --> 00:38:16,411
এক পেয়ে সারস,
291
00:38:17,579 --> 00:38:20,206
তারপর কালো সারস।
292
00:38:22,125 --> 00:38:25,296
পাখিদের পরেই আসে মহিষেরা
293
00:38:25,421 --> 00:38:29,842
সপ্তাহের পর সপ্তাহ পথচলার পর,
তাদের যাত্রা শেষ হয়।
294
00:38:48,821 --> 00:38:51,532
যতই ওকাওয়াঙ্গাতে পানি ছড়িয়ে পরে
295
00:38:51,658 --> 00:38:58,331
কালাহারির বিশাল এলাকা
উর্বর তৃণভূমির স্বর্গে পরিণত হয়।
296
00:39:01,417 --> 00:39:08,217
পৃথিবীর আর কোন প্রান্তেই পানির এরকম
প্রানদায়ী রুপ এত স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়না
297
00:39:12,263 --> 00:39:15,516
ওকাওয়াঙ্গার বুকে প্রানিদের পথচলার
রেখা দাগ কেটা যায়
298
00:39:15,641 --> 00:39:18,061
যেন মনে হয় এটা একটা হৃদয়,
299
00:39:18,561 --> 00:39:21,439
আর পায়ে চলার পথগুলি একেকটি
শিরা উপশিরা
300
00:39:21,523 --> 00:39:23,608
যার ভেতর দিয়ে পানি বয়ে চলেছে,
301
00:39:23,692 --> 00:39:26,069
যে পানি বন্যায় পরিণত হয়।
302
00:39:46,425 --> 00:39:49,636
এই আফ্রিকা সচরাচর দেখা যায়না -
303
00:39:50,345 --> 00:39:52,723
একটি সমৃদ্ধ পানির রাজত্ব।
304
00:40:10,618 --> 00:40:13,496
কিছু প্রাণীর কাছে এটা একদম নিজের বাসার মতো
305
00:40:13,621 --> 00:40:15,581
এগুলো হচ্ছে লেচোয়ে-
306
00:40:15,706 --> 00:40:18,501
এক প্রজাতের হরিণ, যাদের পায়ের খুড় বেশ প্রশস্ত,
307
00:40:18,626 --> 00:40:22,089
যার দ্বারা তারা পানিতে দ্রুত চলতে পারে,
308
00:40:22,923 --> 00:40:26,552
কিন্তু অন্যদের জন্য এটা মোটেও সুবিধাজনক না,
309
00:40:32,891 --> 00:40:36,897
বেবুনেরা কদাচিত পানিতে নেমে থাকে।
310
00:41:09,307 --> 00:41:15,396
পানি সকল প্রাণীদের জন্যই প্রচুর খাবার নিয়ে আসে।
311
00:41:29,329 --> 00:41:31,164
শিকারি কুকুরের দল,
312
00:41:51,227 --> 00:41:55,023
এরাও এখন আফ্রিকার স্তন্যপায়ীদের মধ্যে প্রায় দুর্লভ
313
00:41:55,148 --> 00:41:59,361
কিন্তু এখনো,
তারা এই মহাদেশের সবচে তুখোড় শিকারি।
314
00:42:01,530 --> 00:42:04,449
তাদের সাফল্যের রহস্য হচ্ছে দলগত প্রচেস্টা
315
00:42:08,246 --> 00:42:11,248
তাদের পছন্দ হচ্ছে ইম্পালা হরিণ।
316
00:42:12,375 --> 00:42:13,626
শিকারের শুরুতে
317
00:42:13,751 --> 00:42:15,879
তাদের দলটি ভাগ হয়ে যায়,
318
00:42:16,796 --> 00:42:21,093
উপর থেকে দেখলে
তাদের কৌশলের রহস্য টের পাওয়া যায়,
319
00:42:22,136 --> 00:42:24,096
যখন কুকুরগুলো শিকারের কাছাকাছি আসে,
320
00:42:24,221 --> 00:42:28,726
তারা দল ভেঙ্গে আলদা হয়ে
তাদের শিকারের চারদিকে অবস্থান নেয়,
321
00:42:40,781 --> 00:42:44,535
তারা সেই ইম্পালাটার চারদিকে একটা বেষ্টনী তৈরি করে
322
00:42:53,461 --> 00:42:55,672
একেবারে নিঃশব্দে এগোয় তারা,
323
00:42:55,797 --> 00:42:57,925
তারা তাদের অবস্থান নেয়,
324
00:43:02,429 --> 00:43:06,058
তাদের কানগুলো সামান্য নড়াচড়ার শব্দও টের পায়
325
00:43:27,790 --> 00:43:29,668
শিকার শুরু হয়ে যায়,
326
00:43:33,588 --> 00:43:37,301
তিনজন কুকুর একটি ইম্পালার
কাছে চলে আসে,
327
00:43:46,143 --> 00:43:47,103
ফসকে গেল।
328
00:43:51,524 --> 00:43:56,112
দলের নেতা কুকুরটা ইম্পালাটাকে
লুকোনো শিকারিদের দিয়ে নিয়ে যায়,
329
00:44:06,248 --> 00:44:07,708
তাদের রাস্তা অনুমান করে নিয়ে
330
00:44:07,792 --> 00:44:09,544
নেতা কুকুরটি কোনার দিকে এগিয়ে যায়,
331
00:44:09,627 --> 00:44:12,714
এবং লুকোনো শিকারিদের সাথে মিলে
চূড়ান্ত আঘাত করতে প্রস্তুত হয়।
332
00:44:15,008 --> 00:44:16,552
হয় পুরোটা, নইলে একেবারেই না।
333
00:44:16,634 --> 00:44:18,094
একের বিপরীতে এক।
334
00:44:22,432 --> 00:44:23,892
কুকুরটির আছে সামর্থ,
335
00:44:24,017 --> 00:44:26,437
আর ইম্পালার আছে গতি।
336
00:44:40,285 --> 00:44:43,580
নিরুপায় না হয়ে ইম্পালাটি খালের পানিতে ঝাপিয়ে পরে -
337
00:44:43,705 --> 00:44:45,792
ইম্পালারা ভালো সাঁতারু না।
338
00:44:49,629 --> 00:44:52,966
কুকুরগুলো ভালো করেই জানে, তাদের শিকারকে
ফিরে আসতে হবে নয় ডুবে মরতে হবে -
339
00:44:53,050 --> 00:44:55,760
এখন এটা হচ্ছে অপেক্ষার খেলা।
340
00:45:03,853 --> 00:45:06,313
তাদের অন্য দলটা ডাকছে,
341
00:45:07,690 --> 00:45:09,776
তারা জঙ্গলে একটা শিকার পেয়েছে।
342
00:45:09,901 --> 00:45:13,571
এবং এই ডাক হচ্ছে তাদের সাথে খাওয়ায়
অংশগ্রহনের ডাক।
343
00:45:17,326 --> 00:45:19,744
এই ইম্পালাটি সৌভাগ্যবান।
344
00:45:27,754 --> 00:45:33,009
এই আকারের একটি দল প্রতিদিন একটা শিকার করে
এবং সবাই মিলে মিশে ভাগ করে খায়
345
00:45:42,478 --> 00:45:45,732
আর ইম্পালাটি এই যাত্রায় প্রানে বেচে গেল।
346
00:45:54,282 --> 00:45:58,454
হাতীরাও তাদের যাত্রাপথের একেবারে শেষ প্রান্তে
347
00:46:00,414 --> 00:46:05,086
সপ্তাহের পর সপ্তাহ হাটতে হাটতে
তারা একেবারে ক্লান্ত হয়ে গেছে।
348
00:46:12,760 --> 00:46:14,888
তাদের দলনেতা পানির গন্ধ পাচ্ছে,
349
00:46:14,972 --> 00:46:18,642
এবং দলটিকে উৎসাহ দিচ্ছে, শেষটুকু উজাড় করে দিতে।
350
00:46:29,195 --> 00:46:30,780
বাচ্চা হাতীগুলো পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েছে।
351
00:46:30,864 --> 00:46:33,283
কিন্তু তাদের মায়েরা এই পথ আগেও অতিক্রম করেছে
352
00:46:33,367 --> 00:46:35,911
এবং তারা জানে, তারা পানির একেবারে কাছাকাছি চলে এসেছে।
353
00:46:53,346 --> 00:46:57,935
শত শত মাইল অতিক্রম করার পর তারা গন্তব্যে চলে এসেছে।
354
00:48:08,678 --> 00:48:14,768
এই হাতীগুলির জীবনে বাৎসরিক শুকনো এবং
বর্ষা মৌসুমের একটি ছন্দ প্রভাব বিস্তার করে আছে
355
00:48:14,852 --> 00:48:18,688
সূর্যের দ্বারা সৃষ্টি একটি ঋতুচক্র।
356
00:48:49,556 --> 00:48:51,432
পৃথিবীর একেবার দক্ষিন প্রান্তে,
357
00:48:51,516 --> 00:48:54,185
চার মাসের ঘোর অমানিশার পর,
358
00:48:54,269 --> 00:48:58,607
সূর্য আবার এন্টার্কটিকার আকাশে উঁকি দেয়।
359
00:49:12,623 --> 00:49:17,377
শেষ পর্যন্ত এম্পেরর পেঙ্গুইনেরা তাদের অবস্থা থেকে মুক্তি পায়,
360
00:49:17,461 --> 00:49:20,465
পুরুষটি এখনো মুল্যবান ডিমটি বয়ে নিয়ে চলছে।
361
00:49:20,547 --> 00:49:24,344
যেটা তারা সারা শীতকাল জুড়ে
সযত্নে রক্ষা করে এসেছে।
362
00:49:32,143 --> 00:49:36,231
সূর্যের আলো ফিরে আসার সাথে সাথে
ডিমটি ফুটে উঠে।
363
00:49:37,441 --> 00:49:40,360
অন্য পাখিরা এখনো ফিরে আসেনি।
364
00:49:40,444 --> 00:49:44,448
কিন্তু এই পেঙ্গুইনেরা,
দীর্ঘ এবং অন্ধকার শীতের অতিক্রম করার পরেও
365
00:49:44,532 --> 00:49:48,286
তার বাচ্চার জীবনের প্রথম খাবারের সংস্থান করে দেয়।
366
00:49:57,463 --> 00:50:05,180
এই বাচ্চাগুলি এখন তাদের জীবনের প্রথম
এন্টার্কটিকার গ্রীষ্ম পার করার জন্য প্রস্তুত.
367
00:50:07,180 --> 00:50:15,180
বাংলা সাব সজীব.